Image

উনবিংশ শতাব্দীর অন্তিমলগ্ন থেকে বিংশ শতাব্দীর ঊষালগ্ন পর্যন্ত আধুনিক শিল্পচর্চায় যিনি এদেশের প্রথম প্রবাদ পুরুষ তিনি শশিভূষণ পাল । যিনি বিশ্বের বিভিন্ন চিত্র প্রদর্শনী থেকে নিয়ে আসেন ৪০ এর অধিক স্বর্ণপদক ও প্রচুর সম্মান ।

''রায়সাহেব'' উপাধিতে ভূষিত সেই অমর শিল্পী হলেন শশিভূষণ পাল । শিল্পী শশিভূষণ পাল ১৯০৪ সালে নিজ বাড়ীতে গোলপাতার ঘর তৈরি করে প্রতিষ্ঠা করেন উপমহাদেশের সর্বপ্রথম মহেশ্বরপাশা স্কুল অব আর্ট । যুক্ত বাংলার কলকাতা আর্ট স্কুলের পর এটিই দ্বিতীয় এবং পূর্ব বাংলার এটাই প্রথম আর্ট স্কুল । শশিভূষণ আর্ট কলেজের নাম পরিবর্তিত হয়ে ১৯৮৩ সালে হয় খুলনা আর্ট কলেজ। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ২২ মার্চ প্রথম ইনস্টিটিউট অব ফাইন আর্টস , খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পথচলা শুরু হয়

পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালে গভর্নমেন্ট আর্ট অ্যান্ড ক্রাফটস প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ঢাকায় প্রাতিষ্ঠানিক চারুশিক্ষার শুভসূচনা করেন শিল্পী জয়নুল আবেদিন স্যার


এস.এম.সুলতান এর মধ্যে দ্য ভিঞ্চি, মিকেল এঞ্জেলো, রাফায়েল, প্রমুখ শিল্পীর প্রকাণ্ড কল্পনা এবং কল্পনার বলিষ্ঠতার ছাপ এতো গভীর এবং অনপনেয় যে, মনে হবে এ চিত্রসমূহ,কোন রকমের মধ্যবর্তিতার বালাই ছাড়া, সরাসরি রেনেসাঁস যুগের চেতনার বলয় থেকে ছিটকে পড়ে এ-ই উনিশশো সাতাত্তর সালে বাংলাদেশের কৃষক সমাজে এসে নতুনভাবে জন্মগ্রহণ করেছে।

এ-ই ছবিগুলো আঁকার মতো মানসিক স্থিতাবস্থা অবস্থা অর্জন করার জন্য শেখ সুলতান কে সব দিতে হয়েছে। পরিবারের মায়া,বংশধারার মধ্যে দিয়ে নিজের অস্তিত্বকে প্রবাহিত করার স্বাভাবিক জৈবিক আকাঙ্ক্ষা ভেতর থেকে ছেটে দিয়ে, এ-ই চিত্র-সন্তান জন্ম দেয়ার একাগ্র প্রায় কাপালিক সাধনায় নিযুক্ত থাকতে হয়েছে সারাজীবন। শেষপর্যন্ত সম্ভব হয়েছে।

বাংলার শিল্পীর হাত দিয়ে বাঙলার প্রকৃতি এবং বাংলার ইতিহাস এস.এম.সুলতান এর মধ্যে দ্যভিঞ্চি,মিকেলঞ্জেলো,রাফায়েল, প্রমুখ শিল্পীর প্রকাণ্ড কল্পনা এবং কল্পনার বলিষ্ঠতার ছাপ এতো গভীর এবং অনপনেয় যে, মনে হবে এ চিত্রসমূহ,কোন রকমের মধ্যবর্তিতার বালাই ছাড়া, সরাসরি রেনেসাঁস যুগের চেতনার বলয় থেকে ছিটকে পড়ে এ-ই উনিশশো সাতাত্তর সালে বাংলাদেশের কৃষক সমাজে এসে নতুনভাবে জন্মগ্রহণ করেছে। এ-ই ছবিগুলো আঁকার মতো মানসিক স্থিতাবস্হা অবস্থা অর্জন করার জন্য শেখ সুলতান কে সব দিতে হয়েছে। পরিবারের মায়া,বংশধারার মধ্যে দিয়ে নিজের অস্তিত্বকে প্রবাহিত করার স্বাভাবিক জৈবিক আকাঙ্ক্ষা ভেতর থেকে ছেটে দিয়ে, এ-ই চিত্র-সন্তান জন্ম দেয়ার একাগ্র প্রায় কাপালিক সাধনায় নিযুক্ত থাকতে হয়েছে সারাজীবন। শেষপর্যন্ত সম্ভব হয়েছে। বাংলার শিল্পীর হাত দিয়ে একেবারে ভেতর থেকে রেনেসাঁস যুগের ফুল ফুটেছে। সুলতান এ-র সাধনা মিথ্যা হয়ে যেতো, যদি না বাঙলার শিল্পীর সঙ্গে সহযোগিতা করে একটি যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়ে ইতিহাসের জাগ্রত-দেবতা আপন স্বরূপে শিল্পীর সামনে এসে না দাঁড়াতেন। এখানেই সুলতান এ-র অনন্যতা। এইখানেই বাংলার কোন শিল্পীর সঙ্গে ভারতবর্ষের কোন শিল্পীর সঙ্গে সুলতানের তুলনা চলে না। অবনীন্দ্রনাথ, যামিনী রায়,নন্দলাল,জয়নুল আবেদিন,আবদার রহমান চাঘতাই,নাগী এসকল দিকপাল শিল্পীর মধ্যে যতোই পার্থক্য থাকুক, তবু সকলের মধ্যে অন্তর্নিহিত যোগসূত্র অবশ্যই রয়ে গেছে। হ্যাভেল ভারতীয় শিল্পাদর্শের যে ব্যাপক সংজ্ঞাটি দিয়েছেন, কেউ তার আওতা ছাড়িয়ে যেতে পারেন নি-একমাত্র সুলতান ছাড়া।


আহমদ ছফা

বাঙালি মুসলমানের মন

Share on :

0 comments

Leave a Reply